‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচির কথা গতকালই জানিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। আর আজ থেকে কোয়েস্ট মলে শুরু হয়ে গেল এই পরিষেবা। গাড়ি নিয়ে এসে এখানে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে কো-উইন অ্যাপ থেকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রতি গাড়িতে চারজন পর্যন্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের গাড়ি থেকে বের হতে হবে না।
এদিন ‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার সেখানে মোট ২৪৪ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই লেক মার্কেটের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলে ভ্যাকসিনেশন। লেক মার্কেট এবং লেক মলের দোকানদার ও কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই পরিষেবা মূলত পাচ্ছেন ব্যবসায়ী, হকার, দোকানি, দিনমজুররা। তাঁদের ভ্যাকসিন দিতে এক বিশেষ বাসও চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। ভ্যাকসিন মিলছে কোনও পূর্ব নথিভুক্তিকরণ ছাড়াই।
পুরসভার দাবি, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। বলছেন, দোকান ছেড়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদেরই সবার আগে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। কারণ তাঁরা রোজ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কলকাতা শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা। পুর ও পরিবহণ দফতরের যৌথ উদ্যোগেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই তার আগেই কলকাতা শহরের সমস্ত বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর পুরসভা।