‘অভিষেক দেখতে গিয়েছিলেন বলেই চিন্তা বেড়েছিল। তাই আমিও গিয়েছিলাম’। করোনা আক্রান্ত মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে যাওয়া প্রসঙ্গে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রকারন্তরে স্বীকার করে নিলেন মুকুল-জায়াকে দেখতে অভিষেক না গেলে তিনিও যেতেন না। অর্থাৎ দিলীপ যে ড্যমেজ কন্ট্রোলের জন্যই গিয়েছিলেন সেটা পরিষ্কার। একইসঙ্গে অভিষেকই যে বিজেপি নেতাদের ঘুম ভাঙিয়েছেন সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেল।
শুক্রবার শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি কার্যালয়ে একটি বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সেখানেই একথা বলেন তিনি। পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিনে জিএসটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘সব জিনিসের উপরই জিএসটি বসছে। তাহলে ভ্যাকসিনে কেন নয়’? দিলীপ ঘোষের দাবি, ভ্যাকসিন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত রাজ্যের। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘এখনও আমাদের বহু কর্মী ঘর ছাড়া। রাজ্যকে জানিয়েছিলাম কোনও লাভ হয়নি। থানায় গেলে বলছে ৫ বছর মার খেতে হবে। এভাবে চলতে পারে না’।
উল্লেখ্য, করোনা ভ্যাকসিনে কর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন এবং এই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের উপর থেকে কর তুলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলে। তবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিশেষত ভ্যাকসিনের উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন রাজ্যের তরফে। এছাড়া অক্সিজেন, রেমডেসিভিরের মতো ওষুধও জিএসটি তালিকার বাইরে রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেকে। এখনও তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠক ৮ জুন। ওই দিন গুরুত্বপূ্র্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। পুরোপুরি কর প্রত্যাহার না হলেও, এসব প্রয়োজনীয় ওষুধের উপর করের হার কমানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।