প্রথম দফার ভোটেই ছত্তিশগড়ে মুখ পুড়ল বিজেপি সরকারের। ভোটের দিন মাও-দমনে ব্যর্থ বিজেপিকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর উদ্বোধনে পোস্তা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী মলয় ঘটক, শশী পাঁজা, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে।
গতকাল ভোটগ্রহণ চলাকালীন ছত্তিশগড়ের বীজপুরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই হয়। আহত হয় দুই কোবরা বাহিনীর জওয়ান। পাঁচ মাওবাদীকে কাবু করতে গিয়েই নাভিশ্বাস ওঠে বিজেপি সরকারের। এই প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মমতার বক্তব্য, ‘ছত্তিশগড়ে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তবুও রাজ্যের মাওবাদীদের সামলাতে পারছে না। মাও-সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদীর দল। কিন্তু আমরা বাংলায় ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যেই মাও-হামলা ট্যাকল করে দেখিয়ে দিয়েছি। বিজেপি শুধু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে চালিত করতে পারে। ভুল তথ্য দিয়ে টুইট করতে পারে।’
এর পাশাপাশি, পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিবিআই-সহ নানা ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মমতা। রথযাত্রা প্রসঙ্গ টেনে এনেও বিজেপির ‘ধর্মীয় রাজনীতি’র সমালোচনা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ভোট এলেই ধর্ম নিয়ে ময়দানে নামে বিজেপি। রাম-নাম করে আসলে ভোট চাইছে ওরা। রথ তো নয়, রথের নামে ফাইভ স্টার হোটেল বানিয়েছে ওরা। রামের নামে ভোট চাইতে এসেছে সব নকল নেতারা।’
গতকাল পোস্তায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘পোস্তায় আসার কারণ এই জায়গা বহুভাষাভাষির। কিন্তু সকলে একসঙ্গে পুজো করেন এখানে। এটা দেখেই ভাল লাগছে।’ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবসায়ীদের ভুল বোঝানো হত। তাই তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিতেন। কিন্তু নোটবন্দি, জেএসটির কোনও ব্যবসায়ীই খুশি নয় আমি জানি। চার পয়সার বাতাসা কিনলেই জিএসটি দিতে হবে! জিএসটির এই সিস্টেমকে আমি কখনই সমর্থন করিনি।’ সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গে মমতার অভয়বাণী, ‘আমরা কোনও দাঙ্গা-অশান্তি চাই না। এই ভূমি আমাদের সবার দেশ। আপনারা ভয় পাবেন না।’