কেন্দ্রের তরফে প্রথম থেকেই টিকার জোগান কম। রাজ্যে বরাবরই প্রয়োজনের তুলনায় টিকার ঘাটতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এরই মধ্যে ৫ লক্ষের একটু বেশি কোভিশিল্ড ও আড়াই লক্ষের কোভ্যাক্সিন এসেছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে রাজ্যের কাছে এখন প্রায় ২৩ লক্ষের কাছাকাছি টিকার ডোজ রয়েছে। কিন্তু তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।
গত বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কলকাতায় এসেছে ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৫৫০ কোভিশিল্ড ডোজ। অন্যদিকে, হায়দ্রাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক পাঠিয়েছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৯০ কোভ্যাক্সিন ডোজ। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধায় জানিয়েছেন রাজ্যের নাগরিকদের জন্য এখন ১৫০ কোটি টাকায় টিকার ডোজ কিনছে সরকার। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে টিকাকরণ করা হয়েছে ১.৪ কোটি মানুষকে, স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে, করোনা ভ্যাকসিন পেতে কালঘাম ছুটছে রাজ্যবাসীর। তাই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বাড়ির সামনেই টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে চাইছে নবান্ন। তাই এখন থেকে ভ্রাম্যমাণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। গতকাল এই ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন পুরসভার প্রধান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অতিসংক্রামক এলাকাগুলিতে এই বাস যাতায়াত করবে। তবে টিকা নিতে আসার আগে ব্যক্তিদের প্রথমে কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।