নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হলেন চার হেভিওয়েট। শুক্রবার সকালে আদালতে যান ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁরা আদালত চত্বর ছেড়ে বেড়িয়ে যান। শোভনের সঙ্গে আদালতে আসেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ মামলায় বর্তমানে অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন ওই চার হেভিওয়েট। অন্তর্বর্তী জামিনে নতুন কোনও শর্ত দিতে পারে আদালত।
উল্লেখ্য, নারদ কাণ্ডে চার অভিযুক্তের শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। ২ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বণ্ডে জামিন পান ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, নারদ মামলা সহ পুরনো কোনও মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না এই চার অভিযুক্ত। কোনও তথ্য প্রমাণও বিকৃত করা যাবে না বলে সতর্ক করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত মাসে নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। চারজনকে সকালে বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসে অবস্থানে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আমাকেও গ্রেফতার করুন’, এই কথাই সিবিআই আধিকারিকদের বলেন মমতা। সেদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। রাতে নিম্ন আদালতে চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর হয়ে যায়। কিন্তু, রাতে এই ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যায় সিবিআই। নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। সেদিন রাতে চারজনকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।