বুধবারই রাজভবনের গেটে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘নাবালক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কটাক্ষের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এবার পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে তারই পাল্টা দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার যশ বিধ্বস্ত তাজপুরের ত্রাণ শিবিরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘সাবালকরা কাজ করেনি, মানুষের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে বলেই নাবালককে এখন আসতে হয়েছে! সেচমন্ত্রী কে ছিলেন, তা সবাই জানেন। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেইছেন, সব তদন্ত হবে। আর আমি নিশ্চিন্ত তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবেই।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, সেচমন্ত্রী হিসেবে শুভেন্দু আর দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শিশির অধিকারীর ভূমিকা এবার যে আতস কাঁচের তলায় পড়তে চলেছে, সেটাই আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাজপুরে নদীবাঁধও পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আশ্বস্ত করে বলেন, ‘৯-১০ তারিখের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণের টাকা।’ এর পাশাপাশি, কেন মাত্র চার মাসের মধ্যেই নদীবাঁধ ভেঙে পড়ল তা নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। প্রশ্ন তোলেন নদীবাঁধের টাকার ব্যবহার নিয়ে। নাম না করেই দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা শিশির অধিকারীকে এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন তিনি। দুর্গতদের আশ্বস্ত করে জানান, দোষী অবশ্যই শাস্তি পাবেন। জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূলর পক্ষ থেকেও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে।