একুশের যুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। আর এই জয়ে যে ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’-এর মতো আইপ্যাকের কর্মসূচীগুলি মোক্ষমভাবে কাজে লেগেছে তা বলাই বাহুল্য। এবার একমাসের ছুটি কাটিয়ে ফের তৃণমূলের জন্য ভোটের ময়দানে নামছে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা।
যদিও ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিনেই পিকে আর ভোট কৌশলীর কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে পাশাপাশিই জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থা আইপ্যাক আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবে। ঘটনাচক্রে, বাংলায় নির্বাচনের সাফল্যের পরদিনই আইপ্যাকের কর্মরত সমস্ত সদস্যকে সবেতন একমাসের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে সেই ছুটি শেষ হয়েছে। এবার আইপ্যাকের সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায়।
প্রসঙ্গত, ভোটে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করতে বাংলার প্রতিটি কোনায় কোনায় গিয়ে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল দু’বছর ধরে কাজ করেছিল। তৃণমূলের সাফল্যের পিছনে সেই পরিশ্রম আছে বলেও মনে করেন অনেকে। তাই ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর কর্মীদের একমাসের ছুটি দিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু ছুটি কাটিয়ে আবার আইপ্যাকের সদস্যরা বাংলার ময়দানে তৃণমূলে হয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংগঠনিক বৈঠকের পর ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে তাঁদের ধারণা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তৃণমূলের ভোট কৌশলী হিসেবে নিয়োগের পর পিকের লক্ষ্য ছিল একুশের যুদ্ধ জয়। রাজনীতির কারবারিদের অনুমান, ‘মিশন ২১’ সফল হওয়ার পর এবার তৃণমূল এবং আইপ্যাকের লক্ষ্য ‘২৪-এ দিল্লী চলো’। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পর মমতাকে আগামী লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিমধ্যেই দলের একাংশের তরফে তুলে ধরা শুরু হয়ে গিয়েছে। জাতীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরাও তা মেনে নিচ্ছেন। তাই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই যে এবার আইপ্যাক কাজ করবে, তা বলাই বাহুল্য।