জাতীয়তাবাদের উসকানি দিয়ে ভারত জুড়ে ছড়ানো হচ্ছে ভুয়ো খবর। আর এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ও তাঁর অনুগামীরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। তাদের আলোচনাসভার বিভিন্ন বক্তাদের কথাতেও মিলল সেই সুর।
সম্প্রতি ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল বিবিসি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আম আদমি পার্টি, তৃণমূল, টিডিপি এবং ডিএমকে-র সদস্যরা। সেখানেই বিবিসি-র ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা জানান, ফেক নিউজ ছড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী মাত্রায় সক্রিয় বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলগুলি। এই ব্যাপারে তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির চেয়ে অনেক বেশী সংগঠিত। এক্ষেত্রে তারা খবরের আবেগ হিসাবে ব্যবহার করছে জাতীয়তাবাদকে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে দ্রুত। সোশ্যাল মিডিয়া থাকায় ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি খবর ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপেও। দেশের আবেগে সুরসুরি দেওয়ায় সাধারণ মানুষও সেই খবর যাচাই না করেই ছড়িয়ে দিচ্ছেন নিজেদের টাইমলাইনে। ফলে খবর ছড়াচ্ছেও দ্রুত।
বিবিসি আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আম আদমি পার্টির অঙ্কিত লাল, রঙ্গরাজ পাণ্ডে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আসতে পারেননি তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। পরে একটি টুইটের মাধ্যমে তিনি আলোচনাসভার নির্যাস শেয়ার করেছেন জনগণের সঙ্গে। লিখেছেন, ‘ভুয়ো খবর ছড়ানোর ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী দলগুলির বড় ভূমিকা আছে’। তাঁর ইঙ্গিত যে বিজেপির দিকে সেটা স্পষ্ট।