এই অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেই আচমকা বদলির নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারের। আর তা ঘিরেই শোরগোল পড়ে গেল কলকাতা মেট্রোয়। যাঁদের এই জোনে চাকরির মেয়াদ ১০ বছর হয়ে গিয়েছে এমন প্রায় ১০০০ জন আরপিএফ কর্মীকে পূর্ব রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে বদলির নির্দেশ এসেছে। আর এই নির্দেশ ঘিরেই চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ২৭৩ জন হেড কনস্টেবল ৫৪৩ জন কনস্টেবল এবং ২৭৫ জন এএসআইয়ের বদলির নির্দেশ এসেছে রেল বোর্ডের তরফে। এ নিয়ে মেট্রোরেলের আরপিএফদের বক্তব্য, মেট্রো জোনের মধ্যেই বিভিন্ন স্টেশন ভেদে তাঁদের পোস্টিং হতে পারে। কিন্তু অন্য জোনে তাঁরা কেন যাবেন!
দিন কয়েক আগে আরপিএফের বদলির ক্ষেত্রে জারি হয়েছে এই নয়া নির্দেশিকা। সেখানে লেখা আছে, যাঁদের চাকরি টানা ১০ বছর একই ডিভিশনে হয়ে গিয়েছে তাঁদের বদলি হতে হবে অন্য ডিভিশনে। আর যাঁরা একবার বদলি হয়ে ফের পুরনো ডিভিশনে ফেরত এসেছেন তাঁদের ১৫ বছর মেয়াদকাল হয়ে গেলে বদলি হতে হবে। জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। গোটা দেশেই জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। কিন্তু বাকি সব জোনের আরপিএফরা নিজের জোনে বদলি হলেও সমস্যায় পড়েছেন কলকাতার আরপিএফ। তাঁদের প্রশ্ন, প্রত্যেকের পরিবার আছে, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে পড়ে। রাতারাতি তাঁরা এই করোনা পরিস্থিতিতে বদলি হবেন কী করে?
পাতালরেলের সুরুক্ষার দায়িত্বে থাকা রেল পুলিশের এই কর্মীদের বক্তব্য, গতবছর বদলির অর্ডার বাতিল করা হয়েছিল করোনার কারণে। এবারও কোভিড ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তা সত্ত্বেও এই বদলি। তাছাড়া যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি তো দেখা দরকার। সাধারণ রেলের আর মেট্রোর চাকরি এক নয়। এখানে ‘বিহেবিয়ার ট্রেনিং’ হয়। মেট্রোর যাত্রীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার উচিত তা শেখানো হয়। সাধারণ রেলের যাত্রী আর মেট্রোর যাত্রী এক নন। নতুন যাঁরা আসবেন তাঁদের পাতালপথের উপযোগী করতে ছ’মাস লেগে যাবে। ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি নড়বড়ে হয়ে যাবে।