একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রথমবার দলের সব সাংসদ-বিধায়ককে নিয়ে সংগঠনিক বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও ভার্চুয়াল মাধ্যমে নয়। দলের সাংসদ-বিধায়কদের আগামী ৫ জুন একেবারে সশরীরে তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন নেত্রী। উপস্থিত থাকবেন সাংগঠনিক পদাধিকারীরাও।
প্রসঙ্গত,ভোটের পরই নতুন সরকারকে নেমে পড়তে হয়েছে করোনা মোকাবিলায়। সেই সঙ্গে দোসর হিসেবে এসে জুটেছে ‘যশে’র মতো দুর্যোগ। যা মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, সাংগঠনিক বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের সেই বার্তা দিয়ে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া, বিধানসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্যের পরও কয়েকটি জেলায় খারাপ ফল হয়েছে শাসকদলের। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের দুটি জেলায় এবারে খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। কেন এই খারাপ ফল, তাও পর্যালোচনা হতে পারে শাসকদলের কোর কমিটির বৈঠকে। তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ভোটে জিতলেও কোভিড পরিস্থিতিতে বড় কোনও বিজয়োৎসব করবে না তৃণমূল। বিজয় সমাবেশ হতে পারে আগামী ২১শে জুলাই। ৫ই জুনের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে একুশের সেই সমাবেশের প্রস্তুতিও শুরু করে দিতে পারে রাজ্যের শাসকদল।
সেদিন একাধিক বিষয়ে কথা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজ্য রাজনীতিতে নতুন প্রবণতা শুরু হয়েছে। একের পর এক নেতা-কর্মী, যারা কিনা ভোটের আগে দল ছেড়েছিলেন, তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। তালিকাটা বেশ লম্বা। দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ-বিধায়ক নাকি লাইনে আছেন। ৫ই জুনের মিটিং থেকে মমতা তাঁদের উদ্দেশে কোনও বার্তা দেন কিনা, সেটা লক্ষ্যণীয় বিষয় হতে চলেছে। এর বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে। সেটা হল, রাজ্যের উপনির্বাচন। বিভিন্ন কারণে নয় নয় করে রাজ্যের ছটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ৬ মাসের মধ্যে। তার মধ্যে একটিতে প্রার্থী হবেন মমতা নিজেই। স্বাভাবিকভাবেই সেই নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করতে পারে শাসকদল। আবার করোনা পরিস্থিতি মিটলেই রাজ্যের বহু পুরসভায় নির্বাচন। সেই নিয়েও আলোচনা হতে পারে।