ঘাঘু রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি তাঁর সৌজন্যমূলক আচরণ এবং আন্তরিকতার জন্য বরাবরই রাজনীতিক মহলে সমাদৃত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকেই সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পুজোয় উপহার প্রদানই হোক, কিংবা বাম জমানার মন্ত্রীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত, সবক্ষেত্রেই সৌজন্যতার মাইলফলক গড়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে একদিকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিরাট দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। এর মধ্যেই গোদের আপর বিষফোঁড়ার মতো ঘূর্ণিঝড় যশ লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা। তাই আজ ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত একাধিক এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও ফের মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যতাবোধ এবং অভিভাবকসুলভ রূপটি ধরা পড়ল। এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝেই জেলাশাসকের খবর নিলেন তিনি।
এদিন দীঘায় ঘূর্ণিঝড় যশ সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারচুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিডিও। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিও। সেখানেই নানা প্রশাসনিক কাজ আলোচনার পর পূর্ণেন্দু মাঝির শারীরিক অবস্থা কেমন আছে জানতে চান মমতা। সম্প্রতি যিনি মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘পূর্ণেন্দু, তুমি শরীরের যত্ন নিচ্ছ? তুমি অসুস্থ অবস্থাতেও ঘর থেকে কাজ করছ। নিজেকে কিন্তু অবহেলা কোরো না। কারণ এই রোগটা অবহেলা করলেই বাড়ে। তাই সুস্থ থেকো। কেউ কিছু মনে করবে না। কারণ সবাই জানে তুমি অসুস্থ। তোমার টিম আছে, টিমই কাজ করবে।’ যদিও এই নতুন নয়, বরাবরই নিজের প্রশাসনিক আধিকারিকদের শরীরের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন তিনি। এক্ষেত্রে কে কোন পদে রয়েছেন, তার ভেদাভেদ করেন না। হাজার ব্যস্ততা, দায়িত্বের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর স্বভাবসিদ্ধ ব্যবহারই ফের প্রকাশ পেল এদিন।