‘যশ’-এর প্রভাবে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা সহ শহরতলির অনেক অঞ্চলে। আরও সপ্তাহখানেক বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতায়, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেঘাচ্ছন্ন থাকবে শহরের আকাশ। এদিন শহরে এক থেকে দু-পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যার সীমান্তে অবস্থান ছিল যশের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি কমিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে যশ। এরপর উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে সরে যাবে তা।
প্রসঙ্গত , দফায় দফায় হওয়া বৃষ্টিপাতের জেরে এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। ওইদিন সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ছ’টা অবধি প্রায় ৩২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতায়, এমনটাই দাবি আলিপুরের।
আগামী ২৯শে মে থেকে শহরের উপর থেকে ধীরে ধীরে মেঘের চাদর সরতে পারে। যদিও আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। ৩০শে মে পর্যন্ত এইরকম থাকবে আবহাওয়া। তবে ৩১শে মে এবং ১লা জুন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২রা জুন থেকে ফের আংশিক মেঘাচ্ছন্ন হবে আকাশ। ওইদিন আবারও হতে পারে বৃষ্টি।
প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, কালিম্পং, দার্জিলিং জেলায়। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। ইয়াশের প্রভাবে এই জেলাগুলিতে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে এই জেলাগুলিতে ঝড় হতে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৭০ কিমি।