গতকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উড়িষ্যায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। বাংলায় পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলীয় এলাকা ছাড়া এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। তবে উড়িষ্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সূত্রের খবর, সাইক্লোন যশের প্রভাবে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে চাঁদিপুরে ডিআরডিও’র রাস্তা। চাঁদিপুরে রয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ। সমুদ্রের ধারে এই রাস্তা এলসি ১ নামে পরিচিত। গুরপাই গ্রামের পাশের এই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতেও ব্যাপক অসুবিধের সৃষ্টি হয়েছে।
এলসি-১ রাস্তা একেবারে সমুদ্রের গা ঘেঁষে গিয়েছে। জোয়ারের জল মাঝে মধ্যেই এই রাস্তায় চলে আসে। তবে এর আগে সুপার সাইক্লোনেও এই রাস্তার কোনও ক্ষতি হয়নি। অথচ বুধবার যশের দাপটে এই রাস্তার অ্যাসফল্টের যে মোটা চাদর রয়েছে তা ভেসে চলে গিয়েছে সমুদ্রে। প্রায় ৩ কিমি রাস্তা জুড়ে ফাটল চওড়া হয়েছে। এমনকি রাস্তার ক্ষতি রুখতে যে বোল্ডার দেওয়া হয়েছিল সেই বোল্ডারও ভাসিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে সমুদ্র।
বৃহস্পতিবার সকালেও দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের জল রাস্তায় এসে আছড়ে পড়ছে। যে রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছে তা একটি সেতুর রাস্তা। এই সেতুর পাশেই রয়েছে অব্যবহৃত পরিত্যক্ত একটি সেতু। সেই সেতুর কাঠামোও ভীষণ রকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবহৃত সেতুর পিলার সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক জায়গা থেকে খসে পড়ছে বালি-সিমেন্ট-পাথর। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সমুদ্রের ধারে যেন একটা খাদ তৈরি হয়েছে। সেই খাদের নিচেই এখনও আছে সমুদ্রের জল। যে ভাবে এদিনও চোখ রাঙাচ্ছে সমুদ্র তাতে বাকি রাস্তাও থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে এলাকার বাসিন্দারা।