অতিমারী ও দুর্যোগের সময় রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে পুরুলিয়ায় ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে! তাদের কোর কমিটির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলা হচ্ছে, ‘ঘর পাবে বলে প্রশাসনের ত্রাণ শিবির বা স্কুলগুলিতে বেশি করে লোক ঢুকিয়ে দাও। ফলে করোনা হবে। সরকার ফাঁসবে’। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর এই নির্দেশে সম্মতি দেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। পুরুলিয়া জেলা বিজেপির কোর কমিটির এই গ্রুপের কথোপকথন স্ক্রিন শটের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে ভাইরাল হওয়া এই স্ক্রিন শটের সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
বুধবার দুপুর থেকেই পুরুলিয়ায় রটে যায় ত্রাণ শিবিরে গেলেই ঘরের জন্য টাকা মিলবে। ফলে যাদের পাকা বাড়ি তাঁরাও দুর্যোগ মোকাবিলায় স্কুলের ত্রান শিবিরে আসতে শুরু করেন। এই ঘটনায় পুলিশ বরাবাজার থানা এলাকায় প্রচারে নেমে বলে, ‘এটা মিথ্যে রটনা।’ তবু কেউ শোনেন নি। তারপরই পুরুলিয়া জেলা বিজেপির কোর কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দলের জেলা সভাপতির এমন নির্দেশ! আর তা প্রকাশ্যে চলে আসতেই সোশ্যাল সাইট ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুরুলিয়া জেলা বিজেপি জানিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ওই স্ক্রিন শট ফেক।
ভাইরাল হওয়া ওই স্ক্রিন শটের কথোপকথনে বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলছেন, ‘সব থেকে ভালো হবে বেশি করে লোক স্কুলগুলিতে ঢুকিয়ে দাও আর সবাইকে বলে দাও যে সবাই ঘর পাবে। যত বেশি লোক একসাথে থাকবে করোনা হবে আর সরকার ফাঁসবে, প্রত্যেকটি অঞ্চলে খবর দিয়ে দাও’। এই নির্দেশের পরই বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলছেন, ‘আপনি বলে দিন। সেন্ট্রালকে বলে আমি মিডিয়াতে দিয়ে দেব। আমাদের কর্মীদেরকে বলতে হবে বেশি করে ফটো ভিডিও করে’। বিজেপির জেলা সভাপতির ওই নির্দেশ ভাইরাল হওয়া স্ক্রিন শট অনুযায়ী সম্মতি জানান জয়পুরের বিধায়ক তথা প্রাক্তন সাংসদ নরহরি মাহাতোও।