বুধবার সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে পূর্ণিমায় ভরা কোটালেই বালাসোরের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়েছে যশ। এখন বালাসোরের দক্ষিণ উপকূল পেরিয়ে যাচ্ছে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে তুমুল ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে হাওয়ার গতি বেড়ে হচ্ছে ১৫৫ কিলোমিটার (গাস্টিং)।
আবহবিদরা মনে করেছিলেন, বেলা ১২টা নাগাদ ঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বালাসোর (দক্ষিণ )ও ধামরা বন্দরের (উত্তর) মাঝখানে ল্যান্ডফল শুরু হয়েছে। মৌসম ভবনের সকাল সাড়ে ১০টার পর্বেক্ষণ বলছে, বালাসোর থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ইয়াস। ঝড়ের অবস্থান ২১ ডিগ্রি ২৫ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই অঞ্চলেই হাওয়ার বেগে ১৪০ কিলোমিটার থেকে ১৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস বলছে, বালাসোরের দক্ষিণে যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া চলছে তাই এর জেরে এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ভরা কোটালের কারণে এমনিতেই সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ে। তার মধ্যে ইয়াসের কারণে প্রায ৬-১২ ফুট অবধি বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে পূর্ণিমা শুরু হয়েছে। এদিন বিকেল নাগাদ ছাড়বে। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কারণে দুর্যোগ আরও চরমে পৌঁছেছে। প্লাবিত হচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। দীঘা, মন্দিরমনি, তাজপুর, শঙ্করপুর তছনছ হচ্ছে। প্রবল তোড়ে জল ঢুকছে গ্রামগুলিতে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড দশা। আবহবিদদের দাবি, উড়িষ্যার ভদ্রক আর বালাসোরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।