বুধবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ উড়িষ্যার বালেশ্বরের দক্ষিণে আছড়ে পড়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ। তবে তার আগে থেকেই প্রভাব শুরু হয়েছে এ রাজ্যের উপকূল এলাকায়। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। জল ঢুকতে শুরু করেছে উপকূলবর্তী এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালাবে যশ। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়ায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ১১০ কিলোমিটার। তাই উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা, যত ক্ষণ না প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে, ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না।
বুধবার সকালেই যশ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে তিনি বলেন, ‘বহু এলাকা ভেসে গিয়েছে। ১৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি আমরা। তাঁদের ত্রাণ কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভরা কোটালের কারণে উপকূল এলাকাগুলিতে প্লাবন বেশি হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষকে আমার অনুরোধ যাঁরা ত্রাণ কেন্দ্রে রয়েছেন, তাঁরা এখন বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না। প্রশাসন অনুমতি দিলে তবেই বাইরে বার হবেন।’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যে বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গোসাবায় প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। শঙ্করপুর, দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ভাসছে।’ পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১ টি নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে বলেও জানান মমতা।