এর আগেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঠায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাতভর অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতির নজরদারি করেছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যশের গতিবিধিতে নজর রয়েছে মমতার। বুধবার অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়বে বাংলা-ওড়িশা উপকূলে। তার আগে সোমবার থেকেই নবান্ন ও উপান্নে সবরকম প্রস্তুতি সারা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও সকাল সকাল সেখানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে নবান্নে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেখান থেকে পৌঁছন উপান্নে। নবান্ন-উপান্ন একেবারে পাশাপাশি দু’টি ভবন। নবান্ন ১৪ তলা, উপান্ন ৪ তলা। এই উপান্নে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর ১০৭০। দু’দিন এখান থেকেই যাবতীয় ব্যবস্থাপনার নজরদারি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত জেগে পরিস্থিতি নজরে রাখবেন তিনি।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলীতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলের জেলা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। এদিনই দুপুরে উড়িষ্যার বালেশ্বরের দক্ষিণের কাছে আছড়ে পড়ার কথা অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় যশের। এখনও অবধি যশের যা গতিবিধি তাতে বাংলা হয়ত অনেকটাই রক্ষা পাবে। তবে ঝড়-জলের তাণ্ডব থেকে যে রাজ্য মুক্ত এমনটা বলা যাবে না। অন্যদিকে জল ছাড়তে পারে ডিভিসি। তেমনটা হলে বাড়বে বিপদ।
সোমবার নবান্নে এসে বিপর্যয় মোকাবিলার সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারও দিনভর এখানেই থাকবেন তিনি। জেলাগুলিকে বন্যার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেছে রাজ্য সরকার। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, নদিয়া, হুগলিতে বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। এই জেলাগুলির নদীর জলস্তর সব সময় পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, দামোদর, ময়ূরাক্ষী ও অজয়ের জলস্তরে চলবে বিশেষ নজরদারি।