আজ সকাল থেকেই বদলে গিয়েছে শহর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম উধাও। বৃষ্টি তেমন না হলেও রোদের দেখা মেলেনি। কারণ, ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ। সূত্রের খবর, যা পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ফলে এখন সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলিতে যশ মোকাবিলায় চলছে জোরদার নজরদারি। দিঘা থেকে খেজুরি অবধি প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র তীর। এর মধ্যে রয়েছে উদয়পুর, নিউ দীঘা, ওল্ড দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, বগুরান জলপাই, রামনগর ও কাঁথি। এর পরে রয়েছে জেলিংহ্যাম। এই ৭১ কিলোমিটার অংশ জুড়ে রয়েছে একাধিক গ্রাম। ফলে ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় এই সব গ্রামের বাসিন্দাদের সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যশের জেরে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে রামনগর, কাঁথি, খেজুরির মোট ৬টি ব্লকের। এর মধ্যে রামনগর ১ ব্লকের শঙ্করপুর থেকে তাজপুর অবধি জামড়া বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে জোর কদমে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে আজ জানানো হয়েছে, বাঁধ এলাকায় ব্ল্যাক স্টোন ফেলে চলছে কাজ৷ সেচ দফতরকে বলা হয়েছে ঠিকাদার মারফত আরও কর্মী পাঠাতে। এর পাশাপাশি এই সব এলাকার গ্রামবাসীদের দ্রুত সরানোর কাজও শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় পৌছে গিয়েছে এন ডি আর এফ ও এস ডি আর এফ আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খোঁজ নেওয়া হয়েছে ব্লকে বিদ্যুতের খুঁটি কতগুলি আছে। কোথায় কোথায় গাছ ভেঙে পড়তে পারে, কোথায় কোথায় বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জল গ্রামের জমি, পুকুর ও রাস্তায় ঢুকতে পারে। এ ছাড়া কোথায় কত কাঁচা বাড়ি আছে, কত বাসিন্দা সেখানে আছেন- সমস্ত যাবতীয় তথ্য রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি এ বার ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেখানে। যাতে ভিড়ে গাদাগাদি করে না থাকতে হয় সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সমুদ্র তীরে যাতে অযথা ভীড় না জমে তা নিয়ে ক্রমাগত চলছে মাইকিং।