ভোট মিটেছে। আর তাতে পাশা উলটে যেতেই বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফেরার হিড়িক শুরু হয়েছে বহু তৃণমূল ত্যাগীদের মধ্যে। শুক্রবার সোনালি গুহর পরই যেমন শনিবার তৃণমূলের ফেরার কাতর আবেদন জানিয়েছেন সরলা মুর্মু। দল টিকিট দিলেও স্রেফ আসন পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল ছেড়েছিলেন যিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে বলে জানিয়ে ঘর ওয়াপসির ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সরলা। কিন্তু তাতে মোটেও সায় নেই মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৌসম নূরের। তিনি সাফ জানিয়েছেন, সরলাকে দলে ফেরানো হবে না।
দলত্যাগীদের দলে ফেরানো প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর বলেন, ‘ওনাকে দলে ফেরানো যাবে না। অনেক আবর্জনা দল থেকে গিয়েছিল, তাতে ভালই হয়েছে। উনি শুধুমাত্র ক্ষমতা আর পদের জন্য, নিজের স্বার্থে দল করতেন তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁকে টিকিটও দিয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও উনি দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা বলেছেন। তাই ওনার জায়গা হবে না দলে।’ দলত্যাগীদের ফেরানো নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছিলেন, এখনই কাউকে না ফিরিয়ে আগে মনিটরিং করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সরলা মুর্মু্র মতো একাধিক নেতা-নেত্রীর দলত্যাগে মালদার জেলা পরিষদ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে কার্যত দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, তাঁদের ২৬ জন সদস্য রয়েছেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আবার বিজেপির দাবি, জেলা পরিষদ তাদের দখলে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ২১ জন সদস্য রয়েছেন। মালদা জেলা পরিষদের বোর্ড দখলে রাখতে ১৯ জন সদস্যের প্রয়োজন। তৃণমূলের দখলেই থাকবে মালদা জেলা পরিষদ বলে দাবি করেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর।