বাংলার বিধানসভা ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী আর তৃণমূল প্রবলভাবে ফের ক্ষমতায় আসতেই পুরোদমে আসরে নেমেছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। কখনও দলের অভিনেত্রী-প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন, আবার কখনও নিশানা করেছেন বিজেপি নেতৃত্বকে। একইসঙ্গে রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ শানাতে পিছপা হচ্ছেন না তিনি। আর তা করতে গিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় গত শনিবার একটি পোস্ট করেন তথাগত। সেই পোস্টের কারণে বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, ছড়াতে পারে অশান্তি। তাই তথাগতর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্টের অভিযোগ এবার এফআইআর দায়ের হল।
জানা গিয়েছে, বিভাস রায়চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গিরীশ পার্ক থানায় রবিবার বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ভিডিও কিংবা খবরের প্রতিবেদনও শেয়ার করছেন। সেরকমই একটি পোস্টের ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁর এই পোস্টের কারণে রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। এমনকী ওই পোস্টের কারণে অশান্তিও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, এ বিষয়ে তথাগত রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে, শুধু তথাগত রায় নন, চাপ বেড়েছে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। এ বারের ভোটে বিজেপির তারকা প্রচারক ছিলেন মিঠুন। বিভিন্ন সভায় গিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৬ মাসেই বদলে যাবে বাংলা। কিন্তু বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ডাক দিতে গিয়ে বেশ কয়েকবার সুপারস্টার মিঠুনের মুখ এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছে, যা উস্কানিমূলক বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় দায়ের হয়েছিল এফআইআর। সেই মামলাতে চাপ বেড়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর।
মিঠুনের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে শিয়ালদা এসিজেএম আদালত। অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুনের বিরুদ্ধে ওই এফআইআর-এর ভিত্তিতে কতদূর তদন্ত এগিয়েছে, তা নিয়েও পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। নির্বাচনী প্রচারে কখনও মিঠুন বলেছেন, ‘আমি জাত গোখরো’, কখনও আবার বলেছেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সরকারি হাসপাতালের সব বেড এসি করে দেওয়া হবে।’ একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যও করেন তিনি, অভিযোগ এমনই। এরপরই মানিকতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেই মামলাতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত।