দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হওয়ার পর থেকেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একেবারে রুটিনে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে এক-দু’দিনের বিরতি থাকলেও এখন প্রায় নিয়মিত বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। রবিবার ফের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশজুড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেল জ্বালানি তেল। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে খোলা বাজারে। বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। অথচ, এই বিষয়ে এখনও ভ্রূক্ষেপ নেই কেন্দ্রের।
রবিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ১৭ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটার প্রতি বেড়েছে ২৫-২৯ পয়সা। এই নিয়ে চলতি মাসেই পেট্রোলও লিটার প্রতি প্রায় ২ টাকা ৬০ পয়সা, এবং ডিজেলে লিটার প্রতি প্রায় ২ টাকা ৯০ পয়সা দাম বৃদ্ধি পেল। বর্তমানে কলকাতায় পেট্রোলের নতুন দাম লিটার প্রতি ৯৩ টাকা ২৭ পয়সা। আর এখানে ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৯১ পয়সা। আজ মুম্বইয়ে পেট্রোল বিকোচ্ছে ৯৯ টাকা ৪৯ পয়সা প্রতি লিটার দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯১ টাকা ৩০ পয়সা দরে। দেশের রাজধানী দিল্লীতেও রেকর্ড গড়েছে জ্বালানির দাম। সেখানে পেট্রোলের নতুন দাম হয়েছে ৯৩ টাকা ২১ পয়সা। ডিজেল বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৪ টাকা ৭ পয়সা দরে। চেন্নাইয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের নতুন দাম যথাক্রমে ৯৪ টাকা ৮৬ পয়সা এবং ৮৮টাকা ৯১ পয়সা।
প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলের মতো জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি।