একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দলবদল ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। একুশের ফল ঘোষণার পর ফের দলবদলের সাক্ষী হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি? সোনালি গুহের মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলল। ভোটের আগে হাঁপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী। ভোট মিটতেই ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে কাকুতিমিনতি করেছেন সোনালি। আর সেইসঙ্গে তৃণমূলত্যাগীদের ফের জোড়াফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলেন সোনালি।
একটি সংবাদমাধ্যমকে সোনালি গুহ বলেন, ‘যাঁরা অভিমান করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই ফিরবেন’। কে কে ফিরছেন? এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনও বার্তা দেননি সোনালি। তবে দীপেন্দু বিশ্বাসের নাম নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সোনালির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘আগামীদিনে দেখুন না কী হয়’।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পর কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত!’ মমতার এই মন্তব্যের পরই জোর চর্চা শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। এমনকী, মুকুল রায়কে ঘিরেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও পরে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে মুকুল জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপির সৈনিক হিসেবেই কাজ করবেন। অন্যদিকে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরেও জল্পনা ছড়িয়েছে।