২০০-র বেশি আসন জিতে বাংলা দখলের খোয়াব দেখেছিল তারা। কিন্তু বাস্তবে তিন সংখ্যাই ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। একুশের রায়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের। আর সেই ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শুধু শোনা যাচ্ছে এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আরেক গোষ্ঠীর অভিযোগ এবং নানা ধরনের কোন্দল। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত যেখানে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্তের বহু নেতা ভাবতে শুরু করেছিলেন বিজেপি সরকার গঠন করলে বাংলায় কে কোন দফতরের মন্ত্রিত্ব পাবেন অথবা কে মুখ্যমন্ত্রী হবে, তার পরিবর্তে এখন শুধুই একের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর মরিয়া চেষ্টা।
বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি দুর্দান্ত সাফল্য পেলেও তার পর থেকে সেই সাফল্য ধরে রাখতে না পারার জন্য মূলত দায়ী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী। তাঁদের অভিযোগ, বাংলায় বিজেপির খারাপ সময় যে নেতারা এবং কর্মীরা দলের জন্য প্রাণপাত করেছেন তাদেরকে গুরুত্ব না দিয়ে রাতারাতি তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে জেলা এবং পঞ্চায়েত স্তর এর ফ্লপ নেতাদের ধরে এনে টিকিট দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় মাপের নেতা দেখানোর চেষ্টা করেছেন দিলীপ এবং কৈলাস।
এই কারণে আদি বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ নাকি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের কাছে রীতিমতো গণস্বাক্ষর করে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে এবং কৈলাস বিজয়বর্গীকে বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি তুলেছেন। এখনও পর্যন্ত দিলীপ ঘোষকে সরানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে কৈলাসকে আপাতত বাংলার দায়িত্ব থেকে ছেঁটে ফেলে বিজেপির আদি নেতা এবং কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।