আয়লা ও উম্পুনের মতো ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করেছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। গতবার উম্পুনের জেরে তছনছ হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বিরাট অঞ্চল। এবারও ঘূর্ণিঝড় যশ আঘাত হানতে পারে গোসাবা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, বাসন্তী, ঝড়খালির মতো বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেই কথা মাথার রেখেই জেলা প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। পাশাপাশি, মৎস্যজীবী ও সমুদ্রে যাতায়াতকারী জাহাজ ও ট্রলারগুলিকেও সতর্ক করছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
কী সেই প্রস্তুতি?
১) পুলিশ, কোস্টগার্ড, এনডিআরএফ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, এসডিও, বিডিওদের ঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
২) সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর অঞ্চলে ক্যুইক রেসপন্স টিমকে তৈরি রাখা হয়েছে।
৩) পিএইচই-কে ২ লাখ জলের পাউচ তৈরি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪) বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে ৫০,০০০ বিদ্যুতের খুঁটি মজুত রাখা হয়েছে।
৫) ২০টি স্যাটেলাইট ফোনে রাখা হবে যোগাযোগ। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হবে ২৫টি ড্রোন।
৬) মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে আগাম বৈঠক করা হয়েছে।
৭) মহকুমা স্তরে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম।
৮) যাদেরকে নিরাপদ দূরত্বে সরানো হচ্ছে, তাঁদের ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৯) উপকূলভর্তি এলাকার ৩ লাখ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার ও ২৫০টি আইসিডিএস সেন্টার ছাড়াও স্কুলকলেজে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।