সাধারণ ধর্মঘট হোক বা ভয়ঙ্কর অতিমারি- কোনো সময়েই তাঁদের পরিষেবা বন্ধ থাকে না। জরুরি বা আপদকালীন দ্রব্য হিসাবে এই ভয়ঙ্কর করোনা আবহের সময়েও লকডাউনে খোলা থাকে ওষুধের দোকান। তাই তাঁদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সেই অনুযায়ী, ওষুধের দোকানের কর্মীরাও করোনা অতিমারিতে ফ্রন্টলাইনার হিসাবেই কাজ করছেন। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদেরও টিকা দেওয়া হোক। এই দাবিতে ডিরেক্টরেট ড্রাগ কন্ট্রোলকে চিঠি দিল অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট।
কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তাঁরা জানাল, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া না হলে ধর্মঘটে বসবেন। সর্বভারতীয় এই সংগঠনকে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিসিডিএ-ও। ডিরেক্টরেট ড্রাগ কন্ট্রোলকে দেওয়া চিঠিতে এই সংগঠনটি জানিয়েছে, ওষুধের দোকানে প্রত্যেকদিন নানা ধরনের মানুষ আসেন। যাঁদের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন করতে হয়। ফলে করোনা সংক্রমণের সম্ভবনা তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক।
সংগঠনের হুঁশিয়ারি, ব্যবসার চেয়ে জীবন অনেক বেশি মূল্যবান। ফলে এই অবস্থায় জরুরি পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। তাই যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ততদিন ধর্মঘটের পথে হাঁটবেন তাঁরা। একই দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিসিডিএ। সরকারের কাছে তাঁদেরও দাবি, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এবার তাঁদের দাবি সরকার শোনে কিনা, সেটাই দেখার।