এবার বহরমপুরের পাঁচবারের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেতা বীরাপ্পা মইলি। “ও শুধু মমতার নামে কটু শব্দ ব্যবহার করে নেতা হয়েছে। মাটির সঙ্গে ওঁর কোনও যোগ নেই।” অধীরকে তোপ দেখে এমনই বললেন মইলি। তাঁর সাফ দাবি, বাংলার ভোটে ভুল নীতির জন্য ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তাঁদের উচিত ছিল তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা। আর এই ভ্রান্ত নীতির জন্য প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর শাস্তিও দাবি করেছেন মইলি।
পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, “মমতা তো আমাদেরই লোক। তৃণমূল তৈরির আগে কংগ্রেসেই ছিলেন। বাংলায় যেহেতু মমতাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছিলেন, তাই আমাদের উচিত ছিল তৃণমূলের সঙ্গেই জোট করা। বাম এবং আইএসএফের সঙ্গে জোট করার থেকে তৃণমূলের সঙ্গী হলে দলের জন্য ভাল হত।” এরপরই সরাসরি অধীরকে আক্রমণ করেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দেন, “অধীর দুর্বল নেতা। মাটির সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ নেই। শুধুমাত্র মমতাকে কটু কথা বলেই ও নেতা হয়েছে। ও যেভাবে মমতাকে বাজে কথা বলেছে, সেটা মানুষ মেনে নেয়নি। এমনকী আমাদের নিজেদের কর্মীরাও আমাদের ছেড়ে মমতাকে সমর্থন করেছেন। আমাদের শক্তিশালী জায়গাতেও এবার তৃণমূল জিতে গিয়েছে।” মইলির সরাসরি আক্রমণ, “যার ভুল নীতিতে এই ভরাডুবি, সেই লোকটা এখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে। এখনও লোকসভার কংগ্রেস দলনেতার পদে। লোকটা শাস্তি পেল না।”
এই শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতার স্পষ্ট কথা, “এভাবে যদি কাউকে শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে সেই দলের কদর থাকে না। আমরা এখন রাজ্যে নেতা নির্বাচন করছি কে বেশি টাকা তুলতে পারবে, আর কার সম্প্রদায়ের লোক বেশি, সেই নিরিখে। আমার মনে হয় না, এভাবে ভোটে জেতা যায়।” প্রসঙ্গত, মমতা-বিরোধিতা নিয়ে অধীরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিবাদ নতুন কিছু নয়। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট পাওয়া নিয়ে কপিল সিব্বলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অধীর। সেসময় তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন সিব্বলদের বক্তব্যের। কিন্তু ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর অধীরবাবু কি আর আগের মতো সুর চড়ানোর সাহস পাবেন? প্রশ্ন উঠছে কংগ্রেসের অন্দরেই।