‘মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দিতে’। হাইকোর্টে এমনই বললেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, ‘আইনমন্ত্রী কোর্টে ঢোকেন নি। আদালতকে বিভ্রান্ত করছে সিবিআই’।
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির স্পষ্ট যুক্তি, নিজাম প্যালেসে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে, এই তথ্য সঠিক নয়। বরং সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিধায়করা সেদিন নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন আসলে সহানুভূতি জানাতে, সংযত থাকার বার্তা দিতে। কোনও চাপ সৃষ্টির অভিসন্ধি ছিল না। সিবিআই যে বিচারপতির আক্রান্ত হওয়ার তত্ত্ব তুলছে, তাও মিথ্যে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর যুক্তি, সেদিন বিচারপ্রতি নিজেই তো এমন কোনও অভিযোগ করেনি। এক কথায়, এভাবেই এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে কড়া সওয়াল-জবাব।
অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘সেদিন সিবিআই দফতরের বাইরের বিক্ষোভকে যেভাবে দেখানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। এমন পরিস্থিতি দেশে এই প্রথমও হল না। গত পাঁচ বছরে এই মামলা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি সিবিআই। এতদিনে মনে পড়ল? ওইদিন কোভিড বিধি মানা হয়নি। কিন্তু তাকে যুক্তি হিসেবে খাড়া করে মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৭৫ বছরের বেশি। টানা ৪৫ বছর ধরে তিনি বিধায়ক। সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আটকে রাখা যায় না’।
অভিযুক্তদের পক্ষে সিঙ্ঘভি আরও বলেন, নিজাম প্যালেসে সেদিনের পরিস্থিতি নজিরবিহীন বলছে সিবিআই। পাশপাশি ফিরহাদ হাকিম সহ ৩ তৃণমূল বিধায়ককে যেভাবে বিনা নোটিসে তুলে আনা হয়েছে তাও নজিরবিহীন। এমনকি নিম্ন আদালতে জামিন পাওয়ার পরও অভিযুক্তদের না জানিয়ে হাইকোর্টে জামিন নাকচের পিটিশন করা হল। এটাও নজিরবিহীন। সবে মিলিয়ে নানা কৌশলে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকাতে চাইছে সিবিআই।