দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয়। আর তার জেরে রোজই রেকর্ড হারে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। ভারতের এ হেন ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি দেখে বেশ কিছুদিন ধরেই মোদী সরকারকে তুলোধনা করছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলি। সর্বপ্রথম মোদীর সমালোচনা করে ইউকে সানডে টাইমস। পরে তাদের প্রকাশিত রচনাটিই পুনরায় প্রকাশ করে ভারতে কোভিড সংক্রমণের বাড়াবাড়ির জন্য সরাসরি মোদীকে দায়ী করে ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’। এর কিছু দিন পরে ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায়ও মোদীকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে। শুধু তাই নয়। একে-একে মোদীর সমালোচনায় মুখর হয় ওয়াশিংটন পোস্ট, নেচার, দ্য গার্ডিয়ান, ডেইলি মেল, সিএনএন-ও। এবার সেই পথে হাঁটল ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ পত্রিকাও। মোদীকে অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের সেই চেশর ক্যাটের সঙ্গে তুলনা করে তারা লিখেছে, এক সময়ে চোখ মেললেই সর্বত্র দেখা যেত যে প্রধানমন্ত্রীকে, কোভিডের মৃত্যু মিছিল দীর্ঘ হতেই তিনি যেন চেশর ক্যাটের মতো ক্রমশই উবে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, চেশর ক্যাট হল একটি কাল্পনিক বিড়াল। ১৯৫১ সালে ডিসনির অ্যানিমেটেড একটি চলচ্চিত্রে অন্যতম ভূমিকা ছিল তার। তার গায়ে গোলাপি ও বেগুনি ডোরাকাটা। মুখে সর্বত্রই হাসি ঝুলে রয়েছে। তবে সে রহস্যময়। কখন কী করবে তা আগে বোঝা যাবে না। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,– গত সাত বছর ধরে ভারতের মানুষ দেখেছে, কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর পরিপাটি করে ছাঁটা দাড়ি ক্রমশ দীর্ঘ ও সাদা হয়েছে। তা কোনও ভাবেই মিস করার উপায়ও ছিল না। কারণ মোদী ছিলেন সর্বত্র। সরকারি বিজ্ঞাপনে, নিজের প্রচারে, টেলিভিশনের পর্দায়…. সব জায়গায়। এমনকি ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেটেও। কিন্তু যেই না সংক্রমণ ও মৃত্যু মিছিল বাড়তে শুরু করেছে, ওমনি তাঁকে আর বেশি দেখা যাচ্ছে না। খবরে শুধু বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন বা করেছেন। কিন্তু সেই ছবিও দেখা যাচ্ছে না। এমনকি ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটেও তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ ভ্যাকসিনই পাওয়া যাচ্ছে না।