দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিরোধীদের পাশাপাশি মোদী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলিও। তেমনই সপ্তাহ খানেক আগেই কোভিড ব্যবস্থাপনা নিয়ে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মহামারী বিশেষজ্ঞ শাহিদ জামিলও। অবশেষে কোভিডের ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিতকরণের জন্য গঠিত কেন্দ্রের বিজ্ঞানী প্যানেল থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জামিল। রবিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আর কিছু বলার নেই।’
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে একটি উত্তর সম্পাদকীয় কলম লেখেন জামিল। তার ছত্রে ছত্রে তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেন। কোভিড ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নির্ধারণ পদ্ধতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান এই মহামারী বিষেশজ্ঞ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রশ্নে মৌলিক তিনটি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেন জামিল। এক, অপর্যাপ্ত টেস্টিং। দ্বিতীয়ত, শ্লথ টিকাকরণ। এবং তিন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্কট। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা সহযোগিতা করলেও প্রমাণ ভিত্তিক নীতি নির্ধারণ করছে না মোদী সরকার।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শাহিদ জামিল বলেছেন, মার্চ মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। পইপই করে বলা হয়েছিল দ্বিতীয়ত ঢেউ সাংঘাতিক আকার নেবে। প্রচুর মানুষের প্রাণ যাবে। তা রুখতে গেলে দ্রুত পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ প্রয়োজন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! টিকাকরণ নিয়ে গা ছাড়া মনোভাবেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন জামিল। তাঁর কথায়, এই বিপুল জনঘনত্বের দেশে এখনও পর্যন্ত মাত্র সাড়ে চোদ্দ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। যার মধ্যে তিন কোটি দুটি ডোজ গ্রহণ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা থাকলে সংখ্যাটা এমন হতো না।