দেশের কোভিড গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। রাজ্যেও করোনার বাড়বাড়ন্ত চলছে৷ এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে রবিবার থেকে বাংলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে বন্ধ থাকবে মেট্রো, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ডিম এবং মাংসের দাম আকাশ ছুঁতে পারে, মনে করছে ব্যবসায়ীদের একাংশ।
নবান্নের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মুদির দোকান, বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যাতে সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিম এবং মাংস আমদানি করতে না পারলে দাম বাড়বে এক ধাক্কায় অনেকটাই। রাজ্য পোলট্রি ফেডারেশন এর সেক্রেটারি মদনমোহন মাইতি জানান, পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোন গাইডলাইন তাদের হাতে এসে পৌঁছনি। ডিম এবং মুরগির গাড়ি যদি আটকানো হয় সেক্ষেত্রে যোগান নামবে তলানিতে। সেক্ষেত্রে ডিমের দাম ১০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এবং মাংসের দাম হাজার টাকা ছুঁতে পারে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মদনমোহন বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি এবং পোলট্রির গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই গাড়িগুলিকে ছাড় না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে একটি আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে এবং ভোগান্তিতে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ।’ উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই আচমকা বেড়েছে মাংসের দাম। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে মুরগির দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। ডিমের দাম ১০ টাকা জোড়া, কিন্তু তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা জোড়া। বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের জেরে মুরগির খাবারের আমদানি না থাকাতেই দাম বাড়ছিল মুরগি এবং ডিমের। এ রাজ্যেও যদি ডিম এবং মুরগির আমদানি-রপ্তানিতে বিধিনিষেধ জারি করা হয়, তাহলে আরও বাড়তে পারে দাম।