শীতলকুচি কাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬জন জওয়ানকে এদিন তলব করল সিআইডি। এর আগে দু’বার ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হলেও আসেনি জওয়ানরা। তাই ২৫ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে তাঁদের। এর আগে করোনার কারণ দেখিয়ে ভার্চুয়াল হাজিরার আর্জি জানিয়েছিলেন। তবে সিআইডির কাছে সেই আর্জি ধোপে টেকেনি।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন, কোচবিহারের শীতলকুচি কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ৪ জনের। সেই সময়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকাবাসী ও মৃতের পরিবারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটের পর সিআইডি তদন্ত করে সত্য প্রতিষ্ঠা হবে। আর সেই কথা মতো, ভোট মিটতেই সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিআইডি।
ইতিমধ্যেই মাথাভাঙা থানার আইসি এবং অন্যান্য পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। মঙ্গলবারই কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকেও তলব করা হয়েছিল। মাথাভাঙা থানার আইসিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দেবাশিস ধর ও মাথাভাঙার এসআইকেও তলব করা হয়। এর আগে এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মীরা যে সিআইডির তলবে ভবানী ভবনে আসবেন না তা এক প্রকার প্রত্যাশিতই ছিল।