লোকসভা ভোটের আগে স্বস্তিতে নেই পদ্ম শিবির। আবারও প্রকাশ্যে চলে এল তাদের গোষ্ঠী দ্বন্দ। বুথ এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে বিজেপি–র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সঙ্ঘর্ষে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল বেলদায়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি–র এক বুথ সভাপতি–সহ ৭ কর্মী।
ঘটনাটি ঘটেছে বেলদার তুতরাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঠাকুরচক গ্রামে। আহত হয়েছেন বিজেপি–র তুতরাঙা বুথ সভাপতি বিশ্বজিৎ রাউত–সহ ৭ বিজেপি কর্মী। আহতদের বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিশ্বজিৎকে বুধবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বুথ সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় দলের অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, বুথ সভাপতিকে না জানিয়ে ১৮৯ নম্বর বুথে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন অপর বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ দাস। দলের একাংশের কর্মীদের অভিযোগ, তিনি নাকি পুরো বুথ এলাকা নিজের দখলে রাখতে চাইতেন। বিশ্বজিৎ ও তাঁর অনুগামীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন।
অন্যদিকে, বিজেপি–র জেলা নেতৃত্বের কাছে ভাল নজরেই ছিলেন প্রসেনজিৎ। ওই এলাকায় তাঁর প্রভাব ক্রমশ বাড়ছিল বলে বিজেপি সূত্রে খবর। ফলে বুথ সভাপতিকে না জানিয়েই বৃহস্পতিবার তিনি কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু এই বৈঠক করার কারণ জানতে চাইলে প্রসেনজিৎ ও তাঁর অনুগামীরা বিশ্বজিৎবাবুর ওপর চড়াও হন। কাচের বোতল, লাঠি, রড দিয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে তাঁর মাথা ও কানের কাছে অনেকটাই কেটে যায়।
এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে দলের কর্মীদের নিয়ে দলেরই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল না। বিশ্বজিৎবাবুকে কেউ ভুল বুঝিয়েছেন। অনেকেই মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। ওঁকে সরিয়ে বুথ সভাপতি হওয়ার জন্য আমি নাকি কর্মীদের ভাঙিয়ে সভা করছি। এ রকম কোনও অভিসন্ধি আমার নেই। উল্টে সভা করার জন্য ওঁরাই আমাদের ওপর চড়াও হয়। কর্মীদের মারধর করে। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।’
জেলায় জেলায় যেভাবে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ছে রামভক্তরা, তাতে এই নির্বাচনেও যে বাংলার হালে পানি পাবে না তারা, সে কথা এতদিনে বুঝে গেছে খোদ বিজেপি নেতারাও।