ভয়ঙ্কর অবস্থা ভারতে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে ১৩০ কোটি মানুষের দেশকে। চারিদিকে ভ্যাকসিন-ওষুধের আকাল। অক্সিজেনের অভাবে দিকেদিকে মৃত্যুমিছিল। আর গোটা পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারের দিকেই আঙুল তুলছে বিরোধীরা। কেন দেশের মানুষকে টিকা না দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে কোটি-কোটি টিকা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেরাম ইন্সস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
সেখানে বলা হয়েছে, প্রথম কোভিশিল্ডের টিকা থেকে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে অন্তত ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ফারাক রাখা হোক। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় চারিদিকে। এবার আসরে নেমে পড়ল এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও। সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের অভিযোগ, ‘বেছে বেছে কোভিশিল্ড নিয়ে সময় বাড়াল। তার মানে এটার পিছনে একটা কালোবাজারি আছে। দাম বাড়ানোর জন্যে এটা করছে। টাইম লিমিট বাড়িয়ে চলল। এর তদন্ত হোক।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। কিন্তু টিকার জোগানে ঘাটতির অভিযোগ উঠে আসছে শুরু থেকেই। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কোভিশিল্ডের ২টি টিকার মধ্যেকার ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়ে গত ৩ মাসে দ্বিতীয় বার ব্যবধান বাড়ানো হল। তাতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শুক্রবারই বঙ্গের প্রায় ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে ঢুকেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আর তা নিয়েই ফের একবার কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে৷ সুখেন্দু শেখর এদিন বলেন, ‘রাজ্য একাধিকবার এ নিয়ে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রকে। টাকা পাঠাবার জন্যে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও প্রথম থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। আজ অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ২ হাজার টাকা দিল। যদিও রাজ্যকে আমন্ত্রণই করল না। রাজ্যকে ভারতের বাইরে রাখতে চাইছে মোদী সরকার। আমাদের দাবি নিয়মিত টাকা দিতে হবে কৃষকদের।’