আপনাদের ভাঁড়ারে টিকা মজুত নেই। তাও রিং টোনে অনবরত টিকাবার্তা বাজিয়ে যান। মানুষকে সচেতন করার এই পদ্ধতি বিরক্তির কারণ। বৃহস্পতিবার এভাবেই কেন্দ্রের উদ্যোগকে কটাক্ষ করল দিল্লী হাইকোর্ট। আদালতের মন্তব্য,’আপনারা মানুষকে বলছেন টিকা লাগান, কিন্তু টিকাকরণ করছেন না। কে টিকা দেবে, যেখানে ভ্যাকসিন মজুত নেই।‘
এদিকে, ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাকরণ চালু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটি মানুষ টিকা নিতে সক্ষম হয়েছে। তাও প্রথম ডোজ। এই ১৮ কোটির মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করেছেন মাত্র ৪ কোটি। অরতাত ৫ মাস কেটে গেলেও ভারতের মোট জনসংখ্যার ১০% মানুষেরও সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়নি। কেন? এই প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসকরা বলছেন, টিকার অপ্রতুল সরবারহ এবং চাহিদার সঙ্গে জোগানের তারতম্য।
এবার তাহলে প্রশ্ন উঠছে, যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁরা কবে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন? আর যারা এখনও টিকাকরণের আওতাভুক্ত নয়, তাঁরা কবে টিকা পাবেন? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কেউ যদি করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকে, তবে তাঁর টিকাকরণের ভবিষ্যৎ কী? শশাঙ্ক জোশি, মহারাষ্ট্র করোনা টাস্ক ফোর্সের সদস্য, বলেছেন, কোভ্যাকসিন নিলে ৪৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায়। আর কোভিশিল্ডের জন্য ৩ মাস। তাই সেভাবে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।