বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার দাবি করলেও ফলাফল বেরোতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ৭৭জন। তবে এবার বাংলায় আরও কমতে চলেছে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা। দু’জন কমে তা হতে চলেছে ৭৫। দলের দুই সাংসদ-বিধায়ক, বিধায়ক পদ গ্রহণ না করে সাংসদ পদেই বহাল থাকবেন। বিজেপি সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের আলোচনার পরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবারে বিধানসভায় মোট পাঁচজন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। চুঁচুড়া থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, টালিগঞ্জ থেকে বাবুল সুপ্রিয় এবং তারকেশ্বর থেকে স্বপন দাশগুপ্ত বড় ব্যাবধানে হারলেও, কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক এবং নদিয়ার শান্তিপুরে জগন্নাথ সরকার জিতে গিয়েছেন। নিশীথ তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী উদয়ন গুহকে মাত্র ৫৯ ভোটের ব্যাবধানে হারিয়েছেন। অন্যদিকে, জগন্নাথ সরকার তৃণমূলের অজয় দে’কে হারিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ভোটে।
নিয়ম অনুযায়ী, এক ব্যক্তি একই সঙ্গে সাংসদ এবং বিধায়ক পদে থাকলেও ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি পদ তাঁকে ছাড়তেই হবে। কোচবিহার এবং রানাঘাটের দুই সাংসদ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল এঁরা দু’জন কোন পদ ধরে রাখবেন? সাংসদ পদ নাকি বিধায়ক পদ? গোপন সূত্রে খবর, এঁরা দু’জনই সাংসদ পদে বহাল থাকতে চেয়েছিলেন এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিধানসভায় নির্বাচিত হলেও এঁরা বিধায়ক পদে শপথ নেননি। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে হয়তো এই দুই নেতা সংসদেই থাকতে চলেছে। এরপর জানা যায়, দিল্লীতে দলের কেন্দ্র ও রাজ্য নেতারা বৈঠক করে সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দেন। দুই সাংসদই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন। তবে, কবে সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।