২০১১ সালে প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। মাঝে সেই দায়িত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসলেও, একুশে ফের একবার পুরোনো দায়িত্ব পদই ফিরে পেলেন ব্রাত্য বসু। নতুন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ব্রাত্যবাবুর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে স্বাগত জানিয়ে নিজেদের দাবিদাওয়া জানাতে শুরু করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষকপদ প্রার্থীরা। যাঁরা গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন বার বার।
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, “দ্বিতীয় বার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে ব্রাত্যবাবুর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ধারাবাহিক ও স্বচ্ছ করা হোক।” পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার দাবি জানিয়েছেন, বর্তমান শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি সংশোধন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র চান, কোভিড সমস্যার সমাধানে রাজ্যের সব বিদ্যালয়কে সেফ হোম ও অক্সিজেন পার্লারের জন্য ব্যবহার করা হোক। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক করে কোভিড-পীড়িত পরিবারগুলির কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের ব্যবস্থা হোক। এছাড়াও, নয়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার দাবি জানিয়েছেন, যেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত সমস্যাগুলো দূরীকরণে অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে বদলি চালু করতে হবে। দিতে হবে টিজিটি স্কেল।