সোমবার ৪৩ জন মন্ত্রীর শপথগ্রহণের পরেই তাঁদের নিয়ে নবান্নে ক্যাবিনেট বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই মন্ত্রীদের দফতর বন্টন করে দেন তিনি। আর তার ঠিক এক ঘণ্টার মধ্যেই নবান্ন থেকে অরণ্য ভবনে গিয়ে নতুন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনদফতরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দিলেন, বনসহায়ক নিয়োগ পদে যে কারচুপি হয়েছিল তার দ্রুত তদন্ত করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমি আজকে সচিবকে বলেছি, সেই কাজ দ্রুত করতে হবে। তদন্তে যাঁদের নাম উঠে আসবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘বনসহায়ক নিয়োগ পদে কারচুপি হয়েছে। আমি তো এত কিছু জানতাম না। এখন সব জানতে পারছি। এই ঘটনার তদন্ত হবে। কারা কারা যুক্ত ছিল, কী ভাবে কার থেকে কী নিয়ে সেই নিয়োগ হয়েছিল তা বের করা হবে।’ এরপরে ডোমজুড়ে ভোটের প্রচারে গিয়েও রাজীবের নাম না করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা। সেই তালিকায় ছিল বনসহায়ক নিয়োগে দুর্নীতি, কলকাতা, দুবাইতে সম্পত্তি—ইত্যাদি প্রভৃতি। এবার একুশের ভোটে ডোমজুড়ে রাজীব হেরে গিয়েছেন। আর তারপরই যেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতার ওপর চাপ বাড়ানো শুরু করলেন জ্যোতিপ্রিয়।