‘আগেও বলেছি এখনও বলছি, নোটবন্দী একটা বিপর্যয়। ৮ নভেম্বর দেশের জন্য ‘কালা দিন’। বিমুদ্রাকরনের পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে। নোটবন্দীর ফলে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাধারণ মজুর, কৃষক, বেকার, গরীব মানুষ ধনে-প্রানে মারা পড়েছেন’। নোটবন্দীর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে মুখ খুলে এভাবেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বিমুদ্রাকরন ঘোষণার পড়েই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বলেছিলেন, ‘আমি তৃণমূল স্তরের মানুষদের ‘পালস রেট’ বুঝি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে একটা বড়সড় বিপর্যয় ঘটে গেছে। সাধারণ মানুষ অসহায়। কেন্দ্রের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের বলি করা হয়েছে গরিব মানুষ, কর্মচারী, ছোট ব্যবসায়ী এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে’।
নোটবন্দীর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই সিদ্ধান্তে কার লাভ হল’? উত্তরও দিয়েছেন মমতা। নাম না করে মোদী-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের ঠুকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকজন মানুষের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।
নোটবন্দীর এই দু’বছরে দেশের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অর্থনীতি ধুঁকছে। ব্যবসা মার খাচ্ছে। সাধারণ মানুষ হতাশ। টাকার দাম ক্রমশ তালানিতে এসে ঠেকেছে। সাধারণ জিনিস অগ্নিমূল্য। এসবের হিসাব জনতা নেবেন’।