এতদিন নেপথ্যে থেকেই নানা দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তবে এবার তাঁকে সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে নামিয়েছিল তৃণমূল। স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গড় বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। রাজনীতি করার মতো পরিণত মানসিকতা রত্নার নেই বলে ভোটের আগে শোভন দাবি করলেও নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। শপথ নেওয়ার পর তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, শোভন একা তৃণমূলে ফিরুন অথবা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে, কোনও কিছুতেই তাঁর আপত্তি নেই।
প্রসঙ্গত, ২০০-র বেশি আসন নিয়ে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সেই জয়ের পর শোভন-বৈশাখী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই শুভেচ্ছা পর্বের মধ্যে কি ওঁদের দু’জনের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনার ইঙ্গিত রয়েছে? রত্নার জবাব, ‘শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তৃণমূলে ফেরার ব্যাপার নেই! আর ফিরবেন কি ফিরবেন না, দিদি তাঁদের নেবেন কি নেবেন না, সেটা দলের ব্যাপার। আমার কিছু বলার নেই।’
তাঁর সাফ কথা, ‘আমি কখনও বলিনি ওঁরা থাকলে আমি রাজনীতি করব না বা তৃণমূল করব না। ওঁরা বলেছেন আমার সঙ্গে একমঞ্চে রাজনীতি করবেন না। আমি এখন বিধায়ক। যদি মনে করেন আমার সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করবেন, আসবেন। কিন্তু আমাকে আর তৃণমূল থেকে তাড়ানোর জায়গা রইল না।’ নিজের জয়ের ব্যাখ্যায় রত্না উল্লেখ করেছেন ‘শোভন-বৈশাখী পর্ব’ নিয়ে তাঁর প্রতি মানুষের সমবেদনার কথাও।
যদি শোভনকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং সে ক্ষেত্রে যদি দল বেহালা পূর্ব আসনটি তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়, কী করবেন রত্না? এমন প্রশ্ন ওঠার কোনও জায়গা নেই বলেই জানালেন তিনি। বেহালা পূর্বের নবনির্বাচিত বিধায়কের বক্তব্য, ‘কেন ছাড়ব? কী জন্য ছাড়ব? কোনও কারণই নেই। মমতাদি যদি ছেড়ে দিতে বলেন, যদি ওখানে ফের দিদির জন্য নির্বাচন হয়, তা হলে হাসতে হাসতে ছেড়ে দেব। কিন্তু শোভন-বৈশাখীর জন্য কোনও প্রশ্নই নেই।’