রোমার বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচে রীতিমত গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল রেড ডেভিলসরা। যার ফলে তারা ফাইনালের পথে অনেক আগেই এক পা বাড়িয়েই রেখেছিল। তাই দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলের ব্যবধানে পরাস্ত হলেও মোট ৮-৫ ব্যবধানে জিতে ফের ইউরোপা লিগ ফাইনালে প্রবেশ করল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে পছন্দের রোমার বিরুদ্ধে গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন এডিনসন কাভানি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এডিন জেকো ও ক্রিসতান্টের দুরন্ত গোলের সুবাদে এগিয়ে যায় এএস রোমা। ইতালির রাজধানীতে স্টাডিও অলিম্পিকোয় আবারও গোল করে ইউনাইটেডের জয় সুনিশ্চিত করেন উরুগুয়ের কাভানি। ম্যাচের শেষের মুহূর্তে অ্যালেক্স টেলেসের আত্মঘাতী গোলে দ্বিতীয় লেগ জিতলেও দুই লেগ মিলিয়ে শেষ অবধি পরাস্ত হয় রোমা।
জোড়া গোলের সুবাদে ইতিহাস রচনা করেন ৩৪ বছরের ‘তরুণ’ স্ট্রাইকার কাভানি। ১৯৮৫-৮৬ সালে ক্লাউস অ্যালফসের পর প্রথম ফুটবলার হিসাবে ইউরোপা লিগের শেষ চারের দুই ম্যাচেই জোড়া গোল করেন কাভানি। এই নিয়ে তিনি ইউরোপা লিগের শেষ ১৫ ম্যাচে ১৬ গোল করে বোঝান তাঁর গাড়িতে এখনও সচল। উল্লেখ্য, ওয়ে গুন্নার সোলসারের অধীনে বারবার সেমিফাইনালে আটকে পড়ছিল ইউনাইটেড। গত বারের ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে সেভিয়ার বিরুদ্ধে পরাজয় মিলিয়ে মোট চারপর টানা শেষ চারের ফাঁদে আটকে পড়ে ট্রফির নিরিখে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব। অবশেষে এবার লক্ষ্যের দিকে একধাপ এগোলো তারা।