বিধানসভা ভোটের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের সন্ত্রাসও। রবিবার ভোটের ফল প্রকাশের পরেও অব্যাহত তাদের হিংসার রাজনীতি। এবার কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপির ওপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহারের ৯টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন দখল করেছে বিজেপি। এরপরই যে এলাকাগুলিতে বিজেপি জিতেছে সেখানে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। অভিযোগ এমনটাই। তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, দিনহাটা-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত চাপের মুখে পড়েছে তৃণমূল।
তুফানগঞ্জে জয়ী হয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভারায়। এদিকে সেই তুফানগঞ্জের নাককাঠিগছ এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা তৃণমূল করি। সেই কারণেই আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যারা দল বেঁধে বেরিয়ে বাঁশ, লাঠি নিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে, দোকানে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। মাথাভাঙাতেও তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এতে ৫জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন।