একুশের বঙ্গভোট শেষ। এ বার গোটা দেশের নজর গিয়ে আটকাবে যোগী রাজ্যে। আগামী বছর দেশের রাজনৈতিকভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তর প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট। মানুষের মন পরিবর্তন হচ্ছে, নাকি হিন্দি বলয়ে এখনও গেরুয়া ঝড় বইছে, তার আভাস পেতে এই নির্বাচন ছিল নির্ণায়ক। সকাল থেকে ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান সেখান থেকে উঠে এসেছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট। বাইশের ভোটে জয় সুনিশ্চিত করার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।
যদিও এখনও পর্যন্ত যেটুকু পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে তাতে বিজেপি সামান্য হলেও এগিয়ে আছে সমাজবাদী পার্টির তুলনায়। কিন্তু, বিজেপির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে অখিলেশ যাবদের দল। রাজধানী লখনউ হোক বা রাম মন্দিরের পিঠস্থান অযোধ্যা। সর্বত্রই বিজেপিকে বড় ব্যবধানে পিছনে ফেলে দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি এবং নির্দল প্রার্থীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের ৩০৫০ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৯৯ টি আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে অথবা জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে রয়েছে বা জয়লাভ করেছে ৬৮৯ পঞ্চায়েতে।
অখিলেশের বুয়া অর্থাৎ মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টির ফলাফল ততটাও আশাব্যঞ্জক নয়। বর্তমানে ২৬৬ টি পঞ্চায়েতে লিড রয়েছে বা জয়লাভ করেছে বসপা। অন্যদিক কংগ্রেস ১০০-র গণ্ডি পেরতে পারেনি। তারা এগিয়ে রয়েছে ৬৬ টি পঞ্চায়েতে। অথচ, আরলেডি বা আপের মতো দলগুলি রীতিমতো টেক্কা দিয়ে লড়ছে বিজেপির সঙ্গে। অন্যান্য দলগুলি বর্তমানে ৬৩৭ টি পঞ্চায়েতে এগিয়ে রয়েছে বা জয়লাভ করেছে। যদিও ভোট পুরোপুরি না ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত এই ট্রেন্ডে বদলও আসতে পারে।