সোমবার কালীঘাটের তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো অ-বিজেপি ফ্রন্ট গঠনের ইঙ্গিত দেন।
এদিন তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের একাধিক বিজেপি বিরোধী দলের নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীরা ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন’। কারা রয়েছেন সেই তালিকায়? মমতা বলেন, ‘আমাকে উদ্ধবজি ফোন করেছিলেন উনি খুব খুশি। রজনীকান্ত ফোন করেছিলেন। অরবিন্দের সঙ্গে আমরা দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। হুডাজি (হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) এবং অমরিন্দর সিংজি-ও আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন’।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জাতীয় রাজনীতিতে অঘোষিত বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কালীঘাটে একথা এদিন জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।
আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব সেই ব্যাপারে কথা হয়েছে। এদিন এই ইঙ্গিত দিলেন মমতা। তাহলে ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে কি বিজেপি বিশেষ করে মোদী-বিরোধী ফ্রন্টের নেতৃত্বে তৃণমূল সুপ্রিমো? রবিবার বঙ্গ ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই এই প্রশ্ন ঘুরেফিরে তুলছেন পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের প্রবল চেষ্টা, দাবি উড়িয়ে বাংলার মসনদে তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসা নিশ্চিত। রবিবার সর্বভারতীয় একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের প্রশ্ন ছিল, ‘এবারের নির্বাচন কি বেশি চ্যালেঞ্জের ছিল?’
বাংলার ২৯৪টি কেন্দ্রেরই জয়ী ‘প্রার্থী’ মমতা উত্তর দেন, ‘গোটা দেশের নিরিখে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা মানুষের আশীর্বাদে সেই নির্বাচন জিতেছি। গোটা দেশের মানুষের জন্য এই নির্বাচন আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’
স্বাভাবিক ভাবেই তাহলে প্রশ্ন উঠবে, তাহলে কি এবার লক্ষ্য দিল্লি? মমতার উত্তর, ‘এখন প্রথম লক্ষ্য বাংলার মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করা। সেটা আগে মিটিয়ে বাকি সব কিছু।’ অর্থাৎ, ঘুরিয়ে হলেও বার্তা স্পষ্ট, দিল্লী নজরেই রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর।