বাংলার নির্বাচনে এপিসেন্টার ছিল নন্দীগ্রাম। প্রাক্তন সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি যুদ্ধে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ অবধি জয়ের হাসি হেসেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দুই। কিন্তু এই ফল মানতে রাজি নয় তৃণমূল। ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই পুনর্গণনার দাবি জানায় তাঁরা। কিন্তু শেষমেষ কমিশন তাতে সায় দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে একটি এসএমএসের ভিত্তিতে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পুর্নগণনা হলে রির্টানিং অফিসারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে!
ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেকের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। সকাল থেকেই রীতিমতো সাপ-লুডো খেলা চলেছে। কখনও এগিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। কখনও আবার মমতা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জানা যায়, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রাম আসনে জয় লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে বদলে যায় ছবি। জানানো হয়, মমতা নন নন্দীগ্রামে জয় পেয়েছেন শুভেন্দু। স্বাভাবিকভাবেই একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করার পর ফল পরিবর্তন সকলের মনেই হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সোমবার কালীঘাটের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এবিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করার পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনলেন এক রিটার্নিং অফিসারের একটি মেসেজ।
এদিন মমতা বলেন, ‘কাল অনেক রাতে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারের একজনকে পাঠানো একটি মেসেজ আমার কাছে এসেছে। সেটাতেই স্পষ্ট যে ওখানে ঠিক কী হয়েছে’। কী ছিল সেই মেসেজে? পুর্নগণনা প্রসঙ্গে তাতে রিটানিং অফিসার লিখেছেন, ‘প্লিজ ক্ষমা করা দিন। আমি যদি রিকাউন্টিং দিই তবে আমাকে খুন করা হবে। রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার পরিবার ধ্বংস করা হবে’। নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধে এদিন মমতা বললেন, ‘কার নির্দেশে কী হয়েছে, কেন দীর্ঘক্ষণ গণনা বন্ধ ছিল সবটাই জানি। এর বিচার চাই। আদালতে যাব। আসল তথ্য সামনে আসবেই। কারণ এমন ঘটনা নজিরবিহীন’।