করোনা আবহে দেশের ৫টি রাজ্যে ভোট চলাকালীন নেতা-মন্ত্রীদের জনসভা বন্ধ করতে না পারার জন্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি। সেই তিরস্কারের কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে নানা মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সংবাদ মাধ্যম যাতে ভবিষ্যতে কোর্টের সওয়াল-জবাব বা বিচারপতিদের মন্তব্য প্রকাশ করতে না পারে, সেই জন্য তখনই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সোমবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, আদালতের শুনানি নিয়ে রিপোর্ট করতে মিডিয়াকে বাধা দেওয়া যায় না।
বিচারপতির কথায়, “মিডিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী একটি মাধ্যম। কোর্টের মধ্যে কী হচ্ছে, তারা প্রকাশ করবেই। শুধুমাত্র কোর্টের রায় নয়, এখানকার প্রশ্নোত্তরের কথাও মানুষ জানতে চায়।” উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট মন্তব্য করে, ভোটের সময় তামিলনাড়ুতে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ভোটের জনসভা বন্ধ করেনি। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা যেতে পারে। হাইকোর্ট পরে কমিশনকে নির্দেশ দেয়, ভোটের গণনার ফলে যেন কোনওভাবেই কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়।
গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, “মাদ্রাজ হাইকোর্টের মন্তব্য চূড়ান্ত অপমানজনক। হাইকোর্ট একটি সাংবিধানিক সংস্থা। নির্বাচন কমিশনও সাংবিধানিক সংস্থা। এক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক সংস্থা ভিত্তিহীনভাবে অপর একটি সাংবিধানিক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।”
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপরি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ওপরে শুনানি হবে ৩ মে। এর আগে কোভিড সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, কোনও সংবেদনশীল ব্যাপারে আদালতের অনর্থক মন্তব্য করা ঠিক নয়।