বাংলার ভোট গণনা শুরু হতেই তৃণমূল এবং বিজেপি-র দাপটে রীতিমতো কোণঠাসা সিপিএম সহ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা৷ কিন্তু সিপিএমের কাছে আরও খারাপ খবর হল, গণনা শুরু হতেই পিছিয়ে পড়েছেন একাধিক জনপ্রিয় মুখ৷
প্রথম রাউন্ডের গণনার পর যা খবর, তাতে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে পড়েছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী৷ ২০১৬ সালে যাদবপুরে জিতেছিলেন সুজন৷ আবার শিলিগুড়ি কেন্দ্রেও পিছিয়ে পড়েছেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য৷ সেখানে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি-র শঙ্কর ঘোষ৷ রায়দিঘি কেন্দ্র থেকেও পিছিয়ে পড়েছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেখানে এগিয়ে তৃণমূল৷
চণ্ডীতলা কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে পড়েছেন দলের আর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা মহম্মদ সেলিম৷ এই কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূলের স্বাতী খন্দকার৷ দলের আর এক বর্তমান বিধায়ক দমদম উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যও পিছিয়ে পড়েছেন৷
বামেরা ছুৎমার্গ কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে তরুণ মুখ একেবারে সারিতে নিয়ে এলেও নির্বাচনের ফলাফলে এখনও তার কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেন না। এই মুহূর্তে যা ট্রেন্ড, তাতে পিছিয়ে বামেদের তরুণ ব্রিগেড। বালিতে পিছিয়ে দীপ্সিতা ধর, সিপিএমের গড় হিসেবে পরিচিত জামুরিয়াতে পিছিয়ে ঐশী ঘোষ, সিঙ্গুরে পিছিয়ে সৃজন ভট্টাচার্য।
সিপিএমের কাছে আরও খারাপ খবর হল, গণনা শুরু হতেই পিছিয়ে পড়েছেন একাধিক জনপ্রিয় মুখ৷ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গে, যার নাম সমানে চর্চা হয়েছে, সেই মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পিছিয়ে রয়েছেন। পিছিয়ে রয়েছে কসবার মোর্চা প্রার্থী শতরূপ ঘোষ, তাঁর বিপরীতে রয়েছেন তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেতা জাভেদ খান। পিছিয়ে রয়েছেন টালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।