শুক্রবার খাতায় কলমে এগিয়ে থাকলেও বাইশ গজের লড়াইয়ে পঞ্জাব কিংসের কাছে ৩৪ রানে হেরে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ২৬ বছরের নবাগত হরপ্রীত ব্রার একাই বিরাটদের জয়ের আশায় জল ঢেলে দিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে হেলায় হারিয়ে দিলেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন রাজস্থানের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা রবি বিষ্ণোই। এই লেগ স্পিনার নিলেন ১৭ রানে ২ উইকেট। ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানেই থেমে গেল আরসিবি।
এদিন প্রথমে ব্যাট হাতে সপ্রতিভ ছিলেন হরপ্রীত। ১৭ বলে অপরাজিত ২৫ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলন তিনি। দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। এরপর বল হাতে স্পিনের ছোবলে বিরাট কোহলি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, এবি ডিভিলিয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান। চলতি আইপিএলে প্রথম বার মাঠে নেমেই চমকে দিলেন তিনি। ১১তম ওভারের পরপর দুই বলে ফেরালেন কোহলি ও ম্যাক্সওয়েলকে। এরপর ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই কভারে দাঁড়িয়ে ডিভিলিয়ার্সের ক্যাচ ধরলেন রাহুল। মাত্র ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন তারকা খচিত আরসিবির দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। দেবদত্ত পাড়িক্কল শুরুতে ফিরলেও বিরাট কিন্তু নিজের মেজাজে ব্যাট করছিলেন। তবে পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এই অলরাউন্ডারের হাত বল আসতেই মুহূর্তে বদলে গেল খেলার মোড়। সেই ধাক্কা খাওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিরাটবাহিনী।
এদিন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে একেবারে সঠিক পরিণত করে আরসিবির বোলিং। চোটের জন্য এ দিন মাঠে নামেননি মায়াঙ্ক আগরওয়াল। আর এটাই বড় তফাত গড়ে দিল। কাইল জেমিসন, শাহবাজ আহমেদের দাপটে মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরে। যদিও কে এল রাহুল ও ক্রিস গেল দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৮০ রান। কিন্তু ২৬ বলে ৪০ রান করে ‘ইউনিভার্স বস’ সাজঘরে ফিরতেই একা হয়ে যান পঞ্জাব অধিনায়ক। তবে তিনি দমে যাননি। ৫৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। মারেন ৭টা চার ও ৫টা ছয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে পঞ্জাব।