এ যেন হঠাত্ বজ্রপাত ইন্টার মিলান শিবিরে!
ডান হাতের হাড় ভেঙে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের ম্যাচে মাউরো ইকার্দির দল ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে খেলা হয়নি তাঁর।
প্রথম পর্বের যে ম্যাচে ০-২ হারলেও ইন্টার মিলান শিবির আশায় ছিল, তাদের ঘরের মাঠে মেসিহীন বার্সেলোনাকে হারানো যাবে। কিন্তু সেই আশা যে হঠাত্ ধাক্কা খাবে, তা কে জানত!
ইটালির দলটির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে যে দল নিয়ে মিলান গিয়েছেন বার্সেলোনা ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে, সেই দলে তিনি রেখেছেন লিও মেসিকে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় পুরোপুরি পাশ না করলেও দলে রাখা হয়েছে মেসিকে। আর সেই খবর প্রকাশ হতেই বদলেছে পরিস্থিতি।
উল্লেখ্য, বার্সেলোনা ছেড়ে নেইমার চলে যাওয়ার পরে মেসি ও সুয়ারেজ মিলেই দলের ৫৪ শতাংশ গোল করেছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত এই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মেসি-সুয়ারেজের গোলের সংখ্যা ৯৭। যে পরিসংখ্যান মনে করিয়ে দিয়ে বার্সেলোনা ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দের বক্তব্য, ”মেসি ও সুয়ারেজ একসঙ্গে মাঠে থাকলে গোটা দলটাই অনুপ্রাণিত হয়ে ভাল খেলে।”
স্পেনীয় মিডফিল্ডার বোরখা ভ্যালেরো সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ”মাঠে তো মেসি একাই সব কিছু বদলে দিতে পারে। আমি চাই শেষ পর্যন্ত ও যেন না খেলতে পারে।” যদিও পরক্ষণেই দলের মনোবল বাড়ানোর জন্য বলে দেন, ”এই ম্যাচে বার্সেলোনাই এগিয়ে। কিন্তু জেতার জন্য আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে। বার্সেলোনাকে ভয় পাচ্ছি না আমরা। তবে ম্যাচটা সহজ নয় মোটেই। বলের দখল রেখে প্রতি-আক্রমণে যাওয়াটাই আমাদের রণকৌশল।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু’দলের সাক্ষাতে এ পর্যন্ত জয়ের পরিসংখ্যানে ৪-১ এগিয়ে রয়েছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ ‘বি’-তে এই মুহূর্তে তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভালভার্দের দল। সমসংখ্যক ম্যাচে ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে ইন্টার মিলান। ফলে মঙ্গলবার রাতে জিতলেই গ্রুপ শীর্ষে থাকা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনার। অন্য দিকে, ঘরের মাঠে ইন্টার মিলান জিতলে আর টটেনহ্যাম ও পিএসজি ম্যাচ ড্র হলে পরের ধাপে যাওয়ার রাস্তা সহজ হবে ইন্টার মিলানের।
ইন্টার মিলানের ম্যানেজার লুসিয়ানো স্প্যালেত্তি বলছেন, ”রাইদা নেইনগোলান মাঝমাঠে ফিরতে পারে। প্রত্যেক বিভাগেই অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছে আমাদের। ইন্টার মিলানের আক্রমণ যে কোনও রক্ষণকে ভাঙতে পারে।”