কেন্দ্রীয় নীতি অনুযায়ী আজ থেকেই ১৮ ও তার বেশি বয়সিদের জন্য খুলে যাচ্ছে দরজা। কিন্তু নীতিই সার, দেশের মাত্র ছটি রাজ্য এই সুবিধে চালু করতে পারছে, কারণ একটাই- ভ্যাকসিন নেই।
কেরল , পাঞ্জাব, গুজরাত, উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যগুলি স্পষ্ট জানিয়েছে এই রাজ্যগুলিতে সার্বিক ভাবে ১৮-৪৫ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। ভ্যাকসিনের জোগান নিয়ে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্পষ্টই বলেছেন, এই কর্মসূচি শুরু করতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন দরকার তা রাজধানীতে মজুত নেই। জনতার কাছে তাঁর আবেদন, তাঁরা যেন কেন্দ্রর কথায় লাইন না দেয় এখনই। তিনি জানাচ্ছেন, আগামী দুদিনে তিন লক্ষ ভ্যাকসিন পাবে দিল্লী,তারপর থেকে গণটিকাকরণ চালু করা যেতে পারে।
অন্য দিকে দেশের সবচেয়ে বেশি করোনা বিধ্বস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। ধুঁকছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। টিকার যোগানের অভাবে সেখানে টিকাকরণই বন্ধ রাখা হয়েছে শুক্রবার থেকে। বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কারণে ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না মুম্বইয়ে।
উত্তর প্রদেশের ৭৫টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলায় এই শর্ত মেনে টিকাকরণ চালু করা গিয়েছে। লখনউ, কানপুর, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, গোরখপুর, মীরাটে সকাল থেকেই ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইন চোখে পড়ছে।
রাজস্থানে ১৮-৪৪ বছরের জন্য টিকাকরণ চালু হয়েছে মাত্র তিনটি জেলায়। আজমের, জয়পুর, যোধপুরের বাসিন্দারাই টিকা পাচ্ছেন। গুজরাতে টিকা পাচ্ছেন ৩৩ টি জেলার মধ্যে মাত্র ১০টির বাসিন্দারা। বিক্ষিপ্ত ভাবে টিকাকরণ শুরু করেছে ওড়িশাও।
বাংলায় টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে-র পরে, অর্থাৎ ভোটপর্ব পুরোপুরি মিটলে। আসাম, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, ছত্তীশগড়ের মতো রাজ্যগুলি জানিয়ে দিয়েছে আজ থেকে গণটিকাকরণ সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই টিকার যোগান বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। মোদী সরকারকে ভর্ৎসনা করে কেন্দ্র প্রশ্ন করে টিকার কেন্দ্র ও রাজ্যে টিকার দাম বৈষম্য নিয়েও।