স্কাইওয়াকের পর এবার দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে হবে লাইট অ্যান্ড সাউণ্ড। স্কাইওয়াকের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই দক্ষিণেশ্বর নিয়ে পরবর্তী ভাবনার কথা জানিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রানি রাসমণির নামে আরও কিছু করতে চাই। দক্ষিণেশ্বরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার জন্যে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মতো দর্শনীয় প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই জন্য দরপত্রও ডাকা হয়েছে’।
জানা গেছে, প্রাথমিক ভাবনা অনুযায়ী সন্ধ্যা নামার পরেই মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের সামনে আলো-ধ্বনির মায়াজালের মাধ্যমে হাজির হবেন রানি রাসমণি, শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দের অবয়ব। নাটমন্দিরকে মূল পর্দা হিসাবে ব্যবহার করে অফিস ব্লক, রাধাকৃষ্ণ মন্দিরকে ঘিরে লেজারের মাধ্যমে পরিস্ফুট করা হবে ১৮৫৫ সালে মন্দির তৈরির ইতিহাস। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর লাইট অ্যাণ্ড সাউন্ড প্রকল্প গতি পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার পাশাপাশি স্কাইওয়াককে পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কাইওয়াকের ওপর ১৩৭ টি স্টল এক সপ্তাহের মধ্যে হকারদের বন্টনের নির্দেশ দেন মমতা। পাশাপাশি বলেন, ‘যে স্টল সবথেকে বেশী পরিষ্কার থাকবে সেটিকে বছরে পুরস্কৃত করা হবে’। স্কাইওয়াকের সাফাই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভাকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ১০০ দিনের কাজের ৫০ জন কর্মী প্রতিদিন সেটি সাফ করবেন। স্কাইওয়াকের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে। কালীঘাট-সহ অন্য জায়গাতেও এই ধরণের প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।